গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয়? | এ থেকে মুক্তির উপায়

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয় এবং অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকে জানতে চাই।বর্তমান সময়ে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বা IBS যেন আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে দাড়িয়েছে।

 প্রত্যেক পরিবারে IBS বা গ্যাস্ট্রিকের রোগী আছে। স্থায়ী ভাবে গ্যাস্ট্রিক বা IBS এ আক্রান্তের মুল কারন হিসেবে দ্বায়ী মানষিক দুঃচিন্তা অর্থাৎ স্ট্রেস, হতাশা।

অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেন মানুষের দুটি ব্রেইন একটি হল গাট বা অন্ত্র অপর টি হল আমাদের মাথার ব্রেইন।

 এই দুই ব্রেইন অর্থাৎ মস্তিস্কের সাথে দারুন যোগাযোগ থাকে। আপনি মানসিক ভাবে অসুস্থ্য থাকলে বা কোন চিন্তা করলে আপনার গাট বা অন্ত্র অসুস্থ্য হয়ে যাবে।

অর্থাৎ খাবার হজমে সমস্যা হবে। এবং পরক্ষণে আপনি-আমি IBS বা গ্যাস্টিকে আক্রান্ত হই।

IBS বা গ্যাস্ট্রিকের দীর্ঘদিন আক্রান্ত থাকলে ধীরে ধীরে আমাদের গাট বা অন্ত্রের খুব বাজে অবস্থা তৈরী হয়। বিভিন্ন রোগ তৈরী হয়। ডায়ারিয়া হতে পারে।

তবে এই সময় পেটে ব্যাথা হলে যদি আমরা টয়লেটে যায় তাহলে সস্তি লাগে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে হজমে সমস্যা হয় আর এই কারনে ঘুম ভাল হয় না।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বা IBS এর জন্য ওমিপ্রাজল বা অন্যান্য গ্যাসের ঔষধ খাওয়া কোন সমাধান বা গ্যাস্টিক থেকে আপনাকে সুস্থ্যতা এনে দিতে পারবে না  ১০০% নিশ্চিত।

আপনি যদি ডাক্তারের কাছে যান গ্যাস্টিকের জন্য ডাক্তার আপনাকে পরিক্ষা-নিরিক্ষা এন্ডোসকপি ও ক্লোনসকপিতে গ্যাসের সমস্যা পাওয়া সম্ভব না। 

এমন হতে পারে যে দীর্ঘদিন গ্যাস্টিকের জন্য আলসার বা ক্লোনে সমস্যা আসলে চিকিৎসা করাতে পারেন। কিন্তু আসলে গ্যাস্ট্রিক থেকে ঔষধ সেবন মুক্তি পাওয়া সম্ভব না।

গাট বা অন্ত্রকে যেহেতু ব্রেইন বা মস্তিস্ক বলা হয় সুতরাং আপনার গাট বা অন্ত্রে সুস্থ্য থাকলে আপনি ৮০% সুস্থ্য থাকবেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা বলেন। আর এটাই সত্য। একারনে আমাদের সর্বদা চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে এবং সাথে শরীর চর্চা করতে হবে।

গ্যাস্টিকের কারনে অনেকের বুক জ্বালা-পোড়া করে অনেকের পেটে ব্যাথা করে, পাতলা পায়খানা হয়।

এ সময় অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার, বাইরের খাবার বা মানুষের তৈরী সকল খাবার, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়। তাই এ সব সময় এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ।

গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ বেশি খেলে কি হয়?

ওমিপ্রাজল জাতীয় ঔষধ আমরা অনেকে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ হিসেবে নিয়মিত সেবন করে থাকি। আসলে স্থায়ী ভাবে কখনও গ্যাস্টিকের ঔষধ IBS বা গ্যাস্টিক থেকে মুক্ত করতে পারে না।

এতে হিতে বিপরিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন দীর্ঘদিন ওমিপ্রাজল জাতীয় ঔষধ সেবন বিপজ্জনক। এতে ক্যান্সারের ঝুকি থাকে। কারন পাকস্থলীর পিএইচ পরিবর্তন হয়ে যায় যার ফলে হজমে ব্যাহত হয়, ধীরে ধীরে রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়।

অর্থাৎ আমাদের গাটে বা অন্ত্রে বা পাকস্থলীতে প্রোবায়োটিক থাকে স্বাভাবিক ভাবেই। এই সকল ওমিপ্রাজল জাতীয় ঔষধ দীর্ঘদিন খাওয়ার ফলে ভাল ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট হয়ে যায় এবং এতে গাট ধীরে ধীরে অসুস্থ্য হয়ে যায়।

এখন অনেকের প্রশ্ন তাহলে কিভাবে গ্যাস্টিক থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারি। প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্টিক থেকে মুক্তি পাওয়া খুব দ্রুত সম্ভব কোন প্রকার ওমিপ্রাজল জাতীয় ঔষধ ছাড়াই। এ বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে বিষদ ভাবে।

পাইলস এর লক্ষণ | পাইলস এর চিকিৎসা

গ্যাস্ট্রিক রোগীর খাবার তালিকা

গ্যাস্ট্রিক রোগীর খাবার তালিকা
গ্যাস্ট্রিক রোগীর খাবার তালিকা
  • মানুষের তৈরী সকল খাবার অর্থাৎ বাইরের খাবার, সুগারি ফুড, জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড ফুড, দোকানের বিভন্ন খাবার খাওয়া সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করতে হবে সারা জীবনের জন্য।
  • ক্যাবেজ জাতীয় খাবার অর্থাৎ বাঁধাকপি, ব্রকলি, ফুলকপি, পুইশাক খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে যতদিন পর্যন্ত গ্যাস্টিক থেকে সুস্থ্য না হচ্ছে। সুস্থ্য হওয়ার পরে আবার এগুলো খেতে পারবেন।
  • ডাল জাতীয় সকল খাবার IBS বা গ্যাস্টিকের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। তাই যেসকল ডাল জাতীয় খাবার ক্ষতিকর গ্যাস্টিক থেকে সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত খাওয়া উচিৎ না।
  • সয়াবিন বা সয়াবিন তেল খাওয়ার বন্ধ করতে হবে চিরতরে খাবার তালিকা থেকে।
  • ফার্মের বিভিন্ন ধরনের মাংস খাওয়া সম্পুর্ন ভাবে বন্ধ করতে হবে। এতে প্রচুর পরিমানে স্ট্ররয়েড থাকে যা আমাদের শরীর তথা পাকস্থলী এবং গাটের সুস্থ্যতাকে নষ্ট করে।
  • IBS বা গ্যাস্টিক থেকে স্থায়ীভাবে চিরতরে মুক্তি পেতে হলে একটাই উপায় গাট বা অন্ত্রকে সুস্থ্য করতে হবে সুস্থ্য রাখতে হবে। এছাড়া কোন ভাবেই IBS বা গ্যাস্টিক থেকে চিরতরে মুক্তি সম্ভব না।
  • অর্থাৎ গাটের মাইক্রোবায়মের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে হবে। এর জন্য প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিক গ্রহন করতে হবে। যা আমাদের গাটের সুসাস্থ্যতা বজায় রাখে।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয়?

IBS অর্থাৎ গ্যাস্ট্রিক আমরা যখন আক্রান্ত হই তখন অনেকে বুঝতে পারিনা যে আমাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা হচ্ছে কিনা। 

যদিও গ্যাস্টিকের সমস্যার কারনে একেক জনের একেক সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দেয়। কিভাবে বুঝতে পারব আমরা যে গ্যস্টিক বা IBS হচ্ছে নিচে আলোচনা করা হল।

  • যখন আমরা গ্যাস্ট্রিক বা IBS আক্রান্ত হই তখন আমাদের অনেকে বুক জ্বালা-পোড়া করে এবং বুকের উপরের অংশে খোচায়।
  • নিয়মিত পায়খানা হয়না। নিয়মিত টয়লেটে গেলেও সম্পূর্ণ পেট পরিষ্কার হয়না। অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্য অর্থাৎ শক্ত প্রকৃতির পায়খানা হয়।
  • দীর্ঘদিন গ্যাস্টিক বা IBS এ কারনে পায়খানা পাতলা হয়। এবং এ সময় প্রতিদিন একই রকম পায়খানা হয়।
  • অতিরিক্ত গ্যাস্টিকের জন্য পেটে ব্যাথা অনুভুত হয় অনেকের।
  • কিছু ব্যক্তির অতিমাত্রায় গ্যাস্টিকের জন্য মাথায় চাপ অনুভুত হয় বা ঘাড় এবং মাথা ব্যথা করে।
  • দীর্ঘদিন অতিরিক্ত মাত্রায় গ্যাস্টিকে ভুগতে থাকলে পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত আসতে পারে।
  • গ্যাস্টিকের সমস্যার কারনে রাতে ভাল ঘুম হয়না এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় অনেকে সময়।

অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়

  • প্রতিদিন পরিমান মত ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে। ফাইবার হিসেবে ইসুফগুল ভূষি, তকমা দানা, চিয়া সীড পিংক সল্ট মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন এতে দারুন উপকার পাবেন। ফাইবার জাতীয় খাবারের জন্য এছাড়াও আরো সন্ধান করতে পারেন।
  • বেশি পরিমানে পানি পান করতে হবে নিয়মিত। তবে খাবার খাওয়ার মধ্যে প্রয়োজন না হলে পানি খাওয়া উচিৎ না। এতে খাবার হজমে ব্যাহত হয়। কমপক্ষে খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে এবং খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করতে হবে। এতে গ্যাস্টিক অনেক কমে যাবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বা ফলমুল খেতে হবে। কারন ভিটামিন সি আমাদের শরীরের মিনারেল তৈরীতে সহায়তা করে এবং মিনারেল শরীরে পানি ধরে রাখে। একারনে দ্রুত খাবার হজম হয়।
  •  প্রতিবার খাবার খাওয়ার ১০ মিনিট আগে আপেল সিডার ভিনেগার, লেবু, পিঙ্ক সল্ট হালকা গরম পানি মিশিয়ে খেতে হবে। এতে সহজে খাবার হজম হবে।
  • রাতের খাবারে আমিষ জাতীয় খাবার না খাওয়া উচিৎ। এতে খাবার হজম দ্রত হয় এবং ঘুম ভাল হয়।
  • স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের শরীরে ব্যাক্টেরিয়া বাস করে যার পরিমান প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন মত। এর মধ্যে অনেক ভাল ব্যাক্টেরিয়া বাস করে যা হজমে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করে থাকে। এই ব্যাক্টেরিয়া যখন কমতে থাকে তখন খাবার হজম হয়না এবং গ্যস্টিক হয়। এ জন্য বাইরের সকল প্রকার খাবার বাদ দিতে হবে। কারন এই কৃতিম খাবার ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট করে। শরীরে ব্যক্টেরিয়ার পরিমান বাড়াতে প্রাকৃতিক খাবার, আপেল সিডার ভিনেগার, টক দই, কিমচি, ফার্মেন্টেড সবজি এ জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে নিয়মিত।
  • অনেকের লিকি গাট বা পেটের মধ্যে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে একারনে এলার্জি বা শরীর চুলকায় এবং গ্যাসের সমস্যা দূর হয় না। যদি এমন হয় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • মানসিক দুঃচিন্তা মুক্ত থাকলে আমাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা প্রায় থাকেই না। এজন্য মুসলিম হলে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করুন। এবং অন্যান্য ধর্মাম্বলী হলে তাদের ধর্ম অনুসারন করুন। এতে চিন্তা মুক্ত ও খোস মেজাজে থাকা সম্ভব। একারনে গ্যাস কম হয়।
  • গ্যাস্টিক বা IBS থেকে মুক্তি পাওয়ার বড় মাধ্যম হল শরীর চর্চা, খেলা-ধুলা, ব্যায়াম করা। নিয়মিত এ গুলো করতে পারলে মন ও শরীর ভাল থাকে একারনে গ্যাস্টিক থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা কোথায় কোথায় হয়?

গ্যাস্ট্রিকের কারণে শরীরের ভিতরে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা করতে পারে।

  • গ্যাস্ট্রিকের কারণে পেটের উপরিভাগে ব্যথা করতে পারে।
  • অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুকে জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা করতে পারে।
  • অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের কারণে মাথা ব্যথার মত সমস্যাও দেখা যেতে পারে।

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করার উপায়

কিছু পদ্ধতি গ্রহণ করলে খুব সহজে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করা যায়।

  • টক দই: হজমের সমস্যা দেখা দিলে টক দই দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। পেটে গ্যাসের ব্যাথা দেখা দিলে তকদের সাথে অল্প পরিমাণ বিট লবণ এবং জিরার গুঁড়া মিশিয়ে পানির সাথে খেলে দ্রুত পেট ব্যথা কমতে পারে।
  • মৌরি: মৌরি তে এমন কিছু উপাদান আছে যেটা গ্যাসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পেট ঠান্ডা রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মৌরি অনেক গুরুত্ব বহন করে।
  • লবঙ্গ: সাধারণত আমরা ঠান্ডা-কাশির জন্য লবঙ্গ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা হলে মুখে দুই তিনটা লবঙ্গ রাখলে এটা অনেকটা সুফল দেয়।

গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ কি

গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষণ গুলোর ভিতরে আছে—-

  • সব সময় বমি বমি ভাব হয়।
  • কিছু খেলে বুকের ভেতরে জ্বালাপোড়া করা।
  • কিছু খেলে সেটা ভালোভাবে হজম না হওয়া।
  • খাবারের প্রতি অরুচি হওয়া।
  • শরীরের ওজন আস্তে আস্তে কমতে থাকা।
  • পেটের মাঝখান হতে ঘাড় পর্যন্ত, নাভির নিচ থেকে সারা পেটের ভিতর এমন কি পিঠেও ব্যথা থাকা।

প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায়

প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায়

গ্যাস্ট্রিক আলসার দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। এছাড়া আপনারা ঘরে বসেও প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্ট্রিক আলসার খুব দ্রুত দূর করতে পারে। গ্যাস্টিক আলসার হলে আপনারা যে প্রাকৃতিক ঔষধ গুলো খেতে পারেন—

  • মধু: প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় এক চা চামচ মধু খেলে আলসার সমস্যার জন্য অনেক উপকারে আসে। মধুর সাথে সামান্য পরিমাণ দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে আপনারা খেতে পারেন।
  • বাঁধাকপির রস: গ্যাস্ট্রিক আলসার সমস্যার জন্য প্রতিদিন এক কাপ করে বাঁধাকপির রস খেতে পারেন।
  • রসুন: রসুন গ্যাস্ট্রিক আলসার সহ বিভিন্ন রোগের শক্তিশালী ঔষধ হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন এক থেকে দুই কোয়া রসুন খেলে অনেক উপকারে আসে।
  • হলুদ: হলুদের গুঁড়া একটি বড় ধরনের প্রবায়োটিক। প্রতিদিন হলুদের গুঁড়া এক কাপ পানির সাথে খেলে আপনার হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে । সাথে সাথে গ্যাস্ট্রিক আলসারের জন্য অনেক উপকারে আসবে।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম

আমরা জানি নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম গ্যাস্ট্রিক সমস্যার জন্য অনেক উপকারী। গ্যাস্ট্রিকের রোগীরা প্রতিদিন সকালে 30 মিনিট করে হাঁটলে সারাদিন পুরোপুরি সুস্থ থাকে।

এছাড়া গ্যাস্ট্রিকের রোগীরা বিভিন্ন ধরনের যোগ ব্যায়াম করতে পারে। যোগ ব্যায়াম গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

শেষ কথাঃ

বিশেষজ্ঞরা বলেন গ্যাস্টিক কোন রোগ নয়। পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে এবং সাধারন ঔষধ সেবনে গ্যাস্টিক বা IBS থেকে মুক্তির উপায় মিলবে না। সাধারন জীবন ব্যবস্থার মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান রয়েছে।

2 thoughts on “গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয়? | এ থেকে মুক্তির উপায়”

Leave a Comment