ঘি এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ঘি এর পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আমাদের সমাজে অনেকে কম জানেন। ঘি প্রাচীন যুগ থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে যুগে যুগে ব্যবহার হয়ে আসছে। সাধারন ভাবে অধিকাং মানুষ মনে করেন ঘী শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
যেহেতু এটি তৈলক্ত। কিন্তু ঘি এর অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ঘি কে তার গুণের জন্য সাধারনত সুপারফুড বলা হয়। ঘি সাধারনত পরিশোধিত এক ধরনের মাখন মাত্র। ঘি সবার কাছে অনেক পছন্দের খাবার হিসেবে বিবেচিত। যেকোন খাবারের স্বাদ বাড়াতে ঘি এর কোন বিকল্প নেই। যেমন ভাত, ডাল এবং খিচুড়ীতে পরিমান মত ঘি দেয়াতে খাবারের স্বাদ কয়েক গুন বেড়ে যায়।
এছাড়াও গুরুপাক খাবার যেমন পোলাও, রিরিয়ানি ঘি এর ব্যবহার অবশ্যক হয়ে পড়েছে। ভোজকরসিকরা প্রায় সকল খাবারে ঘি খেতে পছন্দ করে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভর্তায় ঘি দারুন মজাদার।
আমরা অনেকে জেনেছি পাঞ্জাবের খাবারের হোটেল গুলোতে ঐতিহ্যবাহী খাবারে ঘি ছাড়া যেন চলেই না। এমনকি নান রুটি তৈরী করার পর রুটির উপরে ঘি এর প্রলেপ দেয়া হয়। এছাড়াও অন্যান্য খাবার যেমন মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন, মিষ্টি, হালুয়া, লাড্ডুতেও ঘি এর ব্যবহার রয়েছে পাঞ্জাবে।
এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাসির মাংসে, গরুর মাংসে এবং রোস্ট জাতীয় খাবারে ঘি ব্যবহার করা হয় স্বাদ বাড়াতে।
আমাদের পরিবারে অনেকে আছেন ঘি খেতে ভয় পান। মনে করেন ঘি খাওয়ার কারনে শরীর মোটা হয়ে যাবে বা ওজন বেড়ে যাবে। কিন্তু এই ধারনা ভুল। ঘি স্নেহ বা চর্বি জাতীয় খাবার হলেও শরীরের ওজন বাড়ায় না।
প্রতিদিন নিয়মিত ১-২ চামচ ঘি খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ঘি এ থাকা প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেল ও প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজন। আমরা অনেকে জানি ঘি কে বলা হয় আয়ুর্বেদিক ঔষধ। ঘি সাধারনত অনেক ছোট-খাট রোগের নিরাময় রয়েছে।
গ্রাম অঞ্চালের মানুষ অনেকে নিজেরাই বাড়িতে ঘি তৈরী করতে পারনে। বাড়িতে দুধের গরু এবং মহিষ থেকে ঘি তৈরী অনেকে দারুন পারদর্শী। বরং বাড়তে তৈরী করা ঘি বিশুদ্ধ ও খাঁটি হয়ে থাকে।
ঘি কি?
ঘি আসলে গরু এবং মহিষের দুধ থেকে তৈরী করা হয়। আমরা হয়ত অনেকে জেনেছি ঘি কে ইংরেজীতে ক্ল্যারিফায়েড বাটার (Clarified Butter) বলা হয়। ঘি তে চর্বির পরিমান প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ এর বেশি। এবং অতিরিক্ত ০.০১ শতাংশ পানি। ভারতীয় উপমহাদেশে যুগ যুগ ধরে ঘি এর ব্যবহার বা চাহিদা ব্যাপক রয়েছে।
ঘি এর পুষ্টি উপাদান
দুধ একটি অন্যতম পুষ্টিকর খাদ্য। দুধের তৈরি এমন অনেক খাদ্য আছে যেগুলো প্রত্যক্ষ ভাবে বা পরোক্ষভাবে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তেমন একটি খাদ্য উপাদান ঘি।
ঘি এর পুষ্টি উপাদান:—
- ঘি এর অন্যতম পুষ্টি উপাদান হলো ভিটামিন ডি। যা আমাদের শরীরের হাড় গঠন করতে এবং মজবুত করতে সাহায্য করে।
- ঘি এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- ঘি এর অন্যতম পুষ্টি উপাদান হল ভিটামিন ই যা হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
- ঘি এর মধ্যে এমন কিছু ব্রেন টনিক আছে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- এছাড়া ঘি এর মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সাইড, ফ্যাটি এসিড ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সহ আরো অনেক পুষ্টি উপাদান।
টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ঘি এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা জানি গরুর দুধ পুষ্টি উপাদানে ভরপুর তেমনি ঘি এর পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি। ঘি এর পুষ্টি উপাদানের কারণে মানব শরীরে এর উপকারিতা অনেক বেশি।
একজন মানুষ নিয়মিত এক চা চামচ করে ঘি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বিভিন্ন মালিশের কাজে ঘি এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
ঘি এর বিভিন্ন উপকারিতা থাকলেও কিছু অপকারিতা বিদ্যমান। নিচে ঘি এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
গাওয়া ঘি এর উপকারিতা
প্রতিদিন ঘি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ঘি এর উপকারিতা বলে শেষ করার নয়। ঘি যেহেতু একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে রেয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেল সহ নানা ধরনের পুষ্টি যা আমাদের শরীরে পুষ্টির অভাবে দূর করতে সাহায্য করে। ঘি এর উপকারিতা আলোচনা করা হল।
গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করে
গ্যাস্টিকের সমস্যা যেন এখন সাধারন সমস্যার মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিবার নেই যে পরিবারে গ্যাস্টিকের সমস্যা নেই। গ্যস্টিক থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হতে পারে ঘি। নিয়মিত ঘি খাওয়ায় আপনার গ্যাস্টিক সমস্যা দূর হবে। অনেকে ঘি তেল বা চর্বি জাতীয় কিভাবে গ্যাস্টিক থেকে নিরাময় হবে। কিন্তু ঘি তে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট পাকস্থলীর পরিবেশ ভাল রাখে এবং গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
চোখের জ্যোতি বাড়ায়
আমরা জানি ঘি এ প্রচুর পরিমানে ভিটামিন রয়েছে। এর মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে যা চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে। এবং চোখের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ঘি খাওয়ার কারনে আমাদের অবটিক নার্ভের উন্নতি ঘটে যা আমাদের চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ কমায়
মানসিক চাপ কমাতে ঘি এর জুড়ি নেই। কারন ঘি হল প্রাকৃতিক খাবার। এতে কোন রাসায়নিক চর্বি না থাকায় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। অনেক সময় আমরা অনেক বেশি প্রেসারে থাকি। ঘি এ থাকা প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এবং সব সময় পজিটিভ রাখতে সাহায্য করে।
ক্যান্সারের ঝুকি কমায়
ঘি তে যেহেতু প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের ফ্রী রেডিক্যালদের ধীর ধীরে ক্ষতি করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় যার ফলে ক্যান্সারের ঝুকি কমে যায়। এছাড়া গাট বা অন্ত্রকে সুস্থ্য রাখে খুব সহজেই। আমরা অনেকে জানি অন্ত্রকে আমাদের দ্বিতীয় মস্তিস্কো বলা হয় যা আমাদের শরীরকে সুস্থ্য রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
ডায়াবেটিসের ঝুকি কমায়
ঘি তে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের পুষ্টি যোগায় কিন্তু ক্ষতি করে না। ঘি তে বিদ্যমান লিনলয়েক নামক এসিড যা ডায়াবেটিসের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া শর্করার মাত্রা বজায় থেকে, যা রক্তে সুগারের পরিমান বাড়তে দেয় না। এভাবে ডায়াবেটিসের ঝুকি কমায় ঘি।
প্রদাহ কমায় ঘি
ঘি এমন একটি খাবার যে খাবারে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান বিদ্যমান যা আমাদের ত্বক ও শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এমন কি আমাদের মানসিক সস্তি দেয় ঘি।
গর্ভবতীদের উত্তম খাবার ঘি
ঘি যেহেতু সুপারফুড। ঘি খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে গর্ভবতীদের জন্য দারুন উপকারি। তাই নিয়মিত গর্ভবতী মায়েদের জন্য ঘি নিয়মিত খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে ঘি খাওয়ার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।
ত্বক ভাল রাখে ঘি
ঘি তে রয়েছে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের জন্য দারুন উপকারি। এবং ত্বকে কোন প্রকার ইনফেকশন বা ঘা এমনকি কোন প্রকার ক্ষত হতে দেয় না। নিয়মিত ঘি খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া ঘি তে রয়েছে ত্বকের ময়েশ্চার করে। এবং ত্বকের সোরাইসিস নামক রোগ থেকে নিরাপদে থাকা যায় খুব সহজেই।
ওজন কমায় ঘি
আমাদের পরিবারে অনেকে আছেন যাদের শরীরের ওজন অনেক বেশি। তাদের উচিৎ প্রতিদিন নিয়ম করে ঘি খাওয়া। ঘিতে সকল প্রকার শক্তি রয়েছে তবুও শরীর ওজন বৃদ্ধি করে না। বরং নিয়মিত ঘি খাওয়ার কারনে শরীরের ওজন কমে খুব সহজে।
শক্তি যোগায়
ঘি এমন এক ধরনের খাবার যা আমাদের শরীরের কোন প্রকার ক্ষতি না করে শরীরে শক্তি যোগায়।
মস্তিস্কোর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে
ঘি এর মত এমন কম খাবার আছে যেসকল খাবার আমাদের মস্তিস্কোর জন্য দারুন উপকারি। ঘি আমাদের মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ঘিতে বিদ্যমান ওমেগা ৩, ওমেগা ৬ এবং প্রচুর পরিমানে ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা আমাদের শরীর এবং মস্তিস্কের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয় এবং দারুন উপকারি। যা আমাদের ব্রেইনকে ভাল রাখে। তাই আমাদের নিয়মত ঘি খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
হৃদযন্ত্র ভাল রাখে
ঘি এমন এক খাবার যা আমাদের কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ঘি খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে আমাদের দেহে খারাপ বা ক্ষতিকর কোলেস্টরল কমিয়ে HDL কোলেস্টরল অর্থাৎ ভাল কোলেস্টরল বাড়িয়ে আমাদের হার্টকে সুস্থ্য রাখে। এতে স্ট্রোকের ঝুকি কমে যায় অনেক অংশে। এবং ঘি খাওয়ার কারনে শরীরের ভেতর থেকে হিল করতে সাহায্য করে।
আর্থ্রাইটিস রোগের জন্য উপশম
ঘিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা ৩ যাকে বলা হয় মানব দেহের জন্য লুব্রিক্যান্ট। যার কারনে আর্থ্রাইটিস বা গিটে ব্যাথা দূর হয়ে যায়। তাই নিয়মিত ঘি খাওয়ার দারুন উপকারিতা রয়েছে।
মন ভাল রাখেত
ঘি তে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ এবং ফ্যাটি এসিড যা আমাদের শরীর ও মনকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠ্যকাঠিণ্য দূর করে
ঘি তে বিদ্যমান মিডিয়াম চেন ফ্যাটি এসিড আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়। এবং ঘিতে থাকা বাইটারিক এসিড হজমে ব্যাপক সাহায্য করে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিণ্য দূর করে খুব সহজেই।
হাড় মজবুত করে
ঘি তে বিদ্যমান রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-কে যা আমাদের শরীরের হাড় মজবুত ও শক্তিশালি করতে সাহায্য করে।
এলার্জি কমাতে ঘি
ঘি এলার্জির জন্য দারুন কার্যকর। এবং যাদের দুধ খাওয়ার কারনে পেটের সমস্যা বা বদ হজম হয় তাদের জন্য ঘি আর্দশ খাবার হতে পারে।
ঘি এর ক্ষতিকর দিক
ঘি এর বিভিন্ন উপকারী দিক সম্পর্কে আমরা আগেই জেনেছি। তবে এটি যে শুধু মানব শরীরের জন্য উপকারী তা নয। এটি যেমন মানুষের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি ঘি এর অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে।
ঘি এর ক্ষতিকর দিক:—
- ঘি এর ভেতরে এমনিতে চর্বির পরিমাণ অনেক বেশি। এটি অতিরিক্ত খেলে আপনার ওজন অনেক বেড়ে যেতে পারে।
- যাদের অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তারা কি খেলে তাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে এমনকি পেট ফাঁপার মত সমস্যাও তৈরি হতে পারে।
- অতিরিক্ত কি খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে ফলে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
- ঘিতে চর্বির পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের যতদূর সম্ভব ঘি না খাওয়ায় উত্তম।
পুরাতন ঘি এর উপকারিতা
পুরাতন ঘি সাধারণত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বেশি ব্যবহার করা হয়। প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় পুরাতন ঘি এর উপকারিতা অনেক।
পুরাতন ঘি বিভিন্ন মালিশের কাজে ব্যবহার করা হয় এছাড়া কারোর হাড় বাঁকা থাকলে কিংবা ভেঙে গেলে এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়াও এলার্জি কমাতে, ত্বকের প্রধাহ কমাতে, চুল পড়া প্রতিরোধে পুরাতন ঘি অনেক উপকার সাধন করে।
খাঁটি ঘি চেনার উপায়
বর্তমানে বাজারে কিংবা সুপার শপে অথবা অনলাইন মার্কেটে খুব সহজেই ঘি কিনতে পাওয়া যায়। তবে এসব ঘি এর অধিকাংশ নকলে ভরপুর। আমরা খাঁটি ঘি চিনতে না পারার কারণে বাজার থেকে এসব নকল ঘি কিনে নিয়ে আসি। আমরা খুব সহজে খাঁটি ঘি চিনতে পারি।
খাঁটি ঘি চেনার উপায়:—
- প্রথমে এক চামচ ঘি হাতের তালুতে রেখে দিন। যদি এটি আস্তে আস্তে আপনার শরীরের তাপে গলতে শুরু করে তবে এটি খাঁটি ঘি।
- চুলায় অল্প তাপের আগুনে এক চামচ ঘি নিয়ে দেখুন যদি এটি দ্রুত গলে যায় তাহলে এটি খাঁটি ঘি। তবে এই ঘি এর কালার পরিবর্তন হলে বুঝতে হবে এটি ভেজাল ঘি।
- গলে যাওয়া ঘি ফ্রিজে রাখলে যদি খুব দ্রুতই জমে যায় তবে এটি আসল ঘি।
ঘি সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর:
ঘি কি ফ্রিজে রাখা যায়?
যদি এমন হয় যে, ঘি শেষ হতে তিন মাসের বেশি সময় লাগবে তাহলে ঘি এর পাত্রটি ফ্রিজে রাখায় উত্তম। কারণ ফ্রিজে ঘি রেখে খেলে তা আপনি এক বছরের বেশি সময় ধরে খেতে পারবেন।
রাতে ঘি খেলে কি হয়?
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মতে রাতে ঘি খেলে এর পুষ্টি উপাদান সবচাইতে বেশি পাওয়া যায়।
এছাড়া দুধের সাথে ঘি মিশিয়ে খেলে রাতের ঘুম ভালো হয় সাথে সাথে আপনার ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
গাওয়া ঘি এর দাম?
বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি ভেদে ঘি এর দামে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বাজারে যেসব ঘি পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রয় হচ্ছে।
ঘি খেলে কি মোটা হয়?
ঘি এর ভেতরে চর্বির পরিমাণ বেশি হয় অতিরিক্ত ঘি খেলে আপনি মোটা হয়ে যেতে পারেন।
ঘি সম্পর্কে শেষ কথা
ঘি একটি সুপারফুড বা আদর্শ খাবার নিঃসন্দেহে বলা যায়। ঘি আমাদের নিয়মিত খাওয়ার উচিৎ। কেননা আমাদের শরীরের জন্য ঘি অত্যান্ত উপকারি। এবং আমাদের দেহের পুষ্টি যোগায়ে দেহকে রাখে রোগ মুক্ত। তাই আমাদের নিয়মিত ঘি খাওয়া উচিৎ।