শ্বেতী রোগের প্রাকৃতিক ঔষধ এবং শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আমাদের অনেকের অজানা । এ সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা ভালো ।
শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তি পাবেন ঘরোয়া চিকিৎসায় খুব সহজেই। এই শ্বেতী বা Vitiligo অটোইমিউন ডিজিজ যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে কিছু খাদ্যাভ্যাস ও ঘরোয়া চিকিৎসা গ্রহন করলে তিন মাসের মধ্যে শ্বেতী বা Vitiligo থেকে সুস্থ্য হতে পারেন।
বর্তমান সময়ে ধবল বা শ্বেতী ইংরেজিতে Vitiligo রোগ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। তবে এই শ্বেতী রোগ বা Vitiligo কোন ছোঁয়াচে রোগ নয় বা এটি মারাক্তক বা প্রাণঘাতি কোন রোগ নয়। এক সময় বা এখনো জানাযায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন শ্বেতী রোগের কারন এখনও জানা যায়নি। এক জরিপে তথ্য পাওয়া গেছে সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ এই ধবল বা শ্বেতী বা Vitiligo তে আক্রান্ত।
আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখতে পাই বাজারে বা মার্কেটে গেলে শ্বেতী রোগে বা Vitiligo তে আক্রান্ত অনেক মানুষ। বর্তমান সময়ে ছোট ৪-৫ বছরের বাচ্চাদেরও শ্বেতী রোগে বা Vitiligo তে আক্রান্ত হচ্ছে।
আজকের এই তথ্যবহুল পোস্ট যিনি লিখেছেন তার বাস্তব অভিজ্ঞতা যে কিভাবে তার মা এই শ্বেতী রোগ বা Vitiligo থেকে মুক্তি পেয়েছেন মাত্র ৩ মাসে।
তিনি আরো বলেন, আমার মায়ের পায়ের পাতায় প্রথম ধবল বা শ্বেতী দেখা যায়। প্রথম দিকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রায় ২ বছর পরে শরীরের অন্যান্য জায়গাতে যেমন হাতে, ঘাড়ে ছোট ছোত সাদা হতে থাকে।
তখন মা আমাকে জানালে আমিও চিন্তিত হয়ে যায়। তখন এই শ্বেতী রোগ বা Vitiligo থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক খোজ খবর নিতে শুরু করলাম।
আমরা সংগীত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসন সম্পর্কে জানি তিনি এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি অনেক চেস্টা করেছেন তবুও সুস্থ্য হতে পারেন নি। যখন তিনি দেখছেন শ্বেতী রোগ বা Vitiligo থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তখন তার সারা শরীর সাদা করে ফেলেন।
আমি আরো দেখলাম ভারতের বিখ্যাত কাপড়ের ব্র্যান্ড Raymond কোম্পানির মালিকের ছেলে শ্বেতী রোগ বা Vitiligo তে আক্রান হন। তিনিও কোন এলোপ্যাথিক বা হোমিও প্যাথিকে উপকার পাননি।
আমি খোজ নিয়ে বা আমার সাথে অনেকের দেখা হয়েছে যাদের এই রোগ হয়েছে কিন্তু ৭-৮ বছর ধরে ঔষধ খচ্ছেন বা ডাক্তারের পরামর্শ নিচ্ছেন তখন আমি বুঝতে পারলাম এটা সাধারন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হওয়া সম্ভব না।
এই পোস্টের লেখক আরো বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আমি রিসার্চ করতে করতে বেশ কিছু খন্ড খন্ড তথ্য একত্রে করে একটি পরিপূর্ন সমাধান পেলাম। যেখান জানতে পারলাম এই শ্বেতী রোগ বা Vitiligo কেন হয়?
শ্বেতী রোগ বা Vitiligo থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি? কিভাবে চললে শ্বেতী রোগ বা Vitiligo আক্রান্ত থেকে বাঁচতে পারি? শ্বেতী রোগ বা Vitiligo এর ঔষধ কি?
এই তথবহুল শ্বেতী রোগ বা Vitiligo সম্পর্কে আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট যিনি লিখেছেন তিনি বলেন, আমি যে খন্ড খন্ড তথ্য গুলো একত্রে করি সেগুলো আমেরিকার একটি চিকিৎসক দল যারা ফাংশনাল বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে শ্বেতী রোগ বা Vitiligo সম্পর্কে বলেন।
আর সেই উপায় গুলো আমি আমার মায়ের শ্বেতী রোগ বা Vitiligo থেকে সুস্থ্যতার জন্য প্রয়োগ করি। যারা এই শ্বেতী রোগ বা Vitiligo তে আক্রান্ত পরিমানে একটু কম তারা এই নিয়মকানুন মেনে চললে আল্লাহর রহমতে সুস্থ্য হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ!
শ্বেতী রোগ চেনার উপায়
শ্বেতী রোগ হল একটি skin disorder অটোইমিউন ডিজিজ। এই শ্বেতী রোগকে আমরা অনেকে ধবল রোগ বা শরীর সাদা হয়ে যাওয়া বলে থাকি। শরীরের নির্দিষ্ট কোন জায়গায় শরীরের সাধারন রঙের তুলনায় অনেক বেশি সাদা হয়ে যায়। এবং ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়াতে থাকে।
আমাদের শরীর যখন শরীর রঙ তৈরীতে ব্যার্থ হয় তখন এই রোগ দেখা দেয়। আমাদের শরীরের রঙ কালো, শ্যামলা রঙ, সাদা রঙ নির্ধারন করে মেলানিন নামক পদার্থ। যার গায়ে মেলানিনের পরিমান বেশি তার গায়ের রঙ কালো, যার গায়ে মেলানিনের পরিমান কম তার গায়ের রঙ শ্যামলা বা আরো কম হলে সাদা রঙ হয়ে থাকে।
পাইলস এর লক্ষণ এবং পাইলস এর চিকিৎসা
শ্বেতী রোগ কি কারনে হয়?
শরীরে প্রথমে শ্বেতী রোগ বা Vitiligo দেখা দিলে ছোট ছোট সাদা দেখা দেয় ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আমাদের শরীরে মেলানোসাইটস আছে যেগুলো মেলানোসিসের মাধ্যমে মেলানিন তৈরী করে আমাদের শরীরের রঙ বাজায় থাকে।
যখন এই আমাদের শরীর মেলানিন তৈরীতে ব্যার্থ হয় তখন শ্বেতী রোগ বা Vitiligo দেখা দেয়। অর্থাৎ আমাদের শরীরে মেলানিনের ভারসাম্য দেখা দিলে শ্বেতী রোগ বা Vitiligo হয়ে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে বংশগত ভাবে এই রোগ হতে পারে যদি বংশে কারো থাকে।
আল্লাহ আমাদের শরীরকে যেভাবে তৈরী করেছেন সেই অনুযায়ী আমরা এখন কেউ চলি না এই জন্য এই রোগ হচ্ছে। এবং ধীরে ধীরে আমরা আমাদের সমাজে এই রোগ আরো বেশি দেখতে পাব।
- খাবারঃ যেসকল খাবার খেলে আমাদের শরীরে মেলানিন তৈরী হয় ধীরে ধীরে আমরা সেসকল খাবার থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। বর্তমান সময়ে আমরা প্রচুর পরিমানে বাইরের খাবার, স্টোরয়েড যুক্ত খাওয়ার কারনে যেকোন অটোইমিউন ডিজিজে আক্রান্ত হতে পারে এর মধ্যে অন্যতম শ্বেতী রোগ বা Vitiligo
- ঘুমঃ প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান ঘুম না হলে শরীরে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, ঘুমের নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানো প্রয়োজন। যদি দীর্ঘদিন ঘুমের অনিয়ম হয় তাহলে শ্বেতী রোগ বা Vitiligo সহ অন্যান্য রোগ দেখা দিতে পারে।
- শারীরিক চর্চাঃ বর্তমান সময়ে দেখা যায় আমরা শারীরিক চর্চা বা শারীরিক পরিশ্রম না করায় আমাদের শরীরে নানা রোগব্যাধী বাসা বাধে। শ্বেতী রোগ বা Vitiligo ও অন্যান্য সকল রোগ থেকে মুক্তি পেতে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শারীর চর্চা বা শরীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। শুধু তাই নয় শরীর চর্চা আমাদের শরীর ও মনকে ভাল রাখে।
- মানুষিক প্রশান্তির অভাবঃ অতিরিক্তি মানুষিক চিন্তা আমাদের শরীরে রোগের অন্যতম কারন। মানুষিক চিন্তা গ্যাস্টিকের অন্যতম কারন অর্থাৎ খাবার হজম হতে সমস্যা হয়। আর এই কারনে আমাদের শরীর খাবার থেকে পুষ্টি নিতে পারে না। আমাদের এই জন্য দুঃচিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। এর অন্যতম উপায় হল নামায আদায় করা বা ধর্মীয় কাজে লিপ্ত থাকা, মানুষকে ক্ষমা করা, শারীরিক চর্চা বা খেলাধুলায় সময় দেয়া।
শ্বেতী রোগ কি ভালো হয়?
শ্বেতী রোগের চিকিৎসা মূলত দীর্ঘ মিয়াদি সময় সাপেক্ষ চিকিৎসা। দেহের যেসব অংশে লোম থাকে সেসব অংশের সমস্যা অধিকাংশ সময় পুরোপুরি নির্মূল হয়। তবে লোমবিহীন যেসব জায়গা রয়েছে যেমন ঠোট, হাত পায়ের আঙ্গুল ইত্যাদি ক্ষেত্রে শ্বেতী রোগ ভালো হতে হলে অনেকদিন সময় লাগতে পারে। বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসায় শ্বেতী রোগ ভালো হওয়া সম্ভব।
শ্বেতী রোগের খাবার
- বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়া।
- বীজ জাতীয় খাবার খাওয়া।
- প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খাওয়া।
- আয়রন ও দস্তা সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
- কপারের পাত্রে পানি রেখে সেটি পান করা।
- সুষুম খাবার গ্রহণ করা।
শ্বেতী রোগের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
- হলুদের গুঁড়া এবং সরিষার তেল মিশ্রণ করে আক্রান্ত স্থানে ১৫ থেকে ২০ দিন ব্যবহার করলে এর রোগ অনেকাংশ কমে যায়।
- তুলসী পাতা এবং পুদিনা পাতা একত্রে পিষে লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পেতে পারেন।
- শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তি পেতে আখরোট এবং পেঁপে বেশি বেশি খেতে পারেন। এছাড়া পেঁপের খোসা আক্রান্ত স্থানে ঘষলে উপকার পাওয়া যায়।
বিশ্ব শ্বেতী রোগ দিবস কত তারিখে?
প্রয়াত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনও এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাই প্রতিবছর ২৬ জুন তাঁর প্রয়াণ দিবসে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড ভিটিলিগো ডে’ বা বিশ্ব শ্বেতী দিবস হিসেবে।
শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির উপায়
শ্বেতী রোগ বা Vitiligo থেকে যেকোন বয়সী নারী-পুরুষ কিভাবে সুস্থ্য হতে পারেন সম্পূর্ণ বিষয় আমাদের লেখক তুলে ধরেছেন নিচে। শ্বেতী রোগ নিরাময়ের উপায় হিসেবে আমাদের দৈনন্দিন জীবন শৃঙ্খলায় আনতে হবে। তাহলে আপনি আপনার দীর্ঘদিনের শ্বেতী রোগ বা Vitiligo মুক্তি পাবেন মাত্র ৩-৫ মাসের মধ্যে।
শ্বেতী রোগের প্রাকৃতিক ঔষধ
- প্রতিদিন ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে আপনি মুসলিম হলে নামায আদায় করবেন। এরপর সকালে ব্যায়াম করবেন এক ঘণ্টা সময় মত। আপনি দৌড়াতে পারেন বা ঘরে ইয়োগা বা অন্যান্য ব্যামায় করবেন অবশ্যই। এক ঘণ্টার ব্যায়াম শেষ করে এলোভেরা দেড় ইঞ্চি পরিমান কেটে নিয়ে এক গ্লাস পানিতে সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে। সকালে অন্য কোন খাবার খাওয়া যাবে না। এই এলোভেরা ও লেবু যুক্ত পানি শরীরের কোষকে পরিষ্কার করে। অর্থাৎ মেলানিন তৈরী করতে অক্ষম হওয়া হরমোন কোষ আবার সুস্থ্য হবে।
- সকাল ১০ টায় হলুদের চা খেতে হবে। সকাল থেকে ১০ টা পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে অন্য কোন খাবার খাওয়া যাবে না। হলুদের চা বানাতে ৩০০ মিলি লিটার কুসুম গরম পানিতে কাচা হলুদের রস ২ চামচ (খাটি হলুদের শুকনো গুড়া ব্যবহার করা যাবে), মধু ১ চামচ, এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট ওয়েল ২ চামচ, কিছু কাল জীরা, কিছু মেথী দানা, ১০-১২ টি গোল মরিচ গুড়া (প্রতিদিন গুড়া করে নিতে হবে, গুড়া করে রেখে দিলে কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়) মিশিয়ে এই হলুদের চা খেতে হবে। এভাবে প্রতিদিন ২ বার খেতে হবে ৩-৫ মাস পর্যন্ত।
- দুপুর ১২.৩০ মিনিটে গ্রীন জুস খেতে হবে শ্বেতী রোগ বা Vitiligo এর জন্য। গ্রীন জুসে থাকবে ১ টি শশা, ১ টি গাজর, ১-২ টি টমেটো, বীট এবং ১টি করল্লা, সামান্য ফুলকপি। এখানে উল্লেখিত গুলো সব সময়ে পাওয়া যাবে না বাংলাদেশের আবহাওয়ায়। তবে যেগুল পাওয়া যাবে সেগুলো সংগ্রহ করবেন।
- প্রত্যেক টি আপনি আলাদা ভাবে ব্লেডারে জুস করে খেতে পারেন অথবা যেগুলো সালাদ হিসেবে খাওয়া যাবে সেগুলো সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। উপরে উল্লেখ করা হয়েছে শ্বেতী রোগ বা Vitiligo হয় মেলানিনের অভাবে। আর এই মেলানিন অর্থাৎ শরীরের রঙ নির্ধারন করতে শরীরে পুষ্টির অভাবে মেটাবে এই সকল সবজি বা সালাদ । শ্বেতী রোগের প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে দারুন কার্যকর। এভাবে প্রতিদিন ২ বার খেতে হবে ৩-৫ মাস পর্যন্ত।
- দুপুরের খাবারে ভাত খেতে পারবেন। ভাত আর পর্যাপ্ত সবজি সাথে মাছ অথবা দেশী মুরগীর মাংস। দুপুরে আমিষ হিসেবে মাছ অথাবা মাংস যেকোন একটি খেতে হবে। আমরা সাধারনত বর্তমান সময়ে ফার্মের মুরগী, ডিম ও অন্যান্য মাংস খেয়ে থাকি। যেহেতু ফার্মের পশু-পাখি পালনে প্রচুর এন্টিবায়োটিক এবং স্টোরয়েড যুক্ত খাবার ব্যবহার করা হয় তাই আমাদের সকলের এই খাবার গুলো ত্যাগ করতে হবে শ্বেতী রোগ বা Vitiligo ও অন্যান্য অটোইমিউন ডিজিজ থেকে বাঁচতে। অতএব সকল আমিষ হবে ফার্ম বর্হিরভুত।
- বিকাল ৩ টার দিকে আবার হলুদের চা খেতে হবে। কিভাবে হলুদের চা বানাতে হবে উপরে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। এবং এর আধা ঘণ্টা পরে গ্রীন জুস খেতে হবে।
- বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে কিছু কাজু বাদাম, কিছু কাঠ বাদাম, কিছু দেশি ফল (যেমনঃ পেয়ারা, জাম, জামরুল, লেবু, কলা, আমলকি সময় উপযোগী ইত্যাদি ফল), সুগার ফ্রী অর্থাৎ চিনি ছাড়া ডার্ক চকলেট খেতে হবে।
- রাত সাড়ে ৭ টার মধ্যে বেশ কিছু সালাদ খেতে হবে। যেমনঃ টমেটা, শশা, গাজর, লেটুস ইত্যাদি। এবং কিছুক্ষণ পরে ১ চামচ পরিমান টক দই খেতে পারেন। এতে শরীরের এসিড লেভেল ঠিক থাকবে। কোন অবস্থাতে ভাত খাওয়া যাবে না রাতে এবং কোন আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
- রাতে ঘুম ১০ টার মধ্যে আমাদের সকলের ঘুমাতে যেতে হবে অবশ্যই। এই জন্য রাত ৭ টার মধ্যে রাতের খাবার খেতে হয়। যেন ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাবার হজম হতে পারে। আল্লাহ তায়ালা রাত সৃষ্টি করেছে ঘুমানো বা বিশ্রামের জন্য।
- মানব দেহে যেসকল হরমোন আছে বা অন্যন্য সকল গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলো রাত ১১ টা থেকে মধ্য রাত ২ টা পর্যন্ত এই সময়ের কাজ করে। আর দীর্ঘদিন যদি এই সময়ে আমরা ঘুমে না কাটায় তাহলে যেকোন অটোইমিউন ডিজিজ যেমন শ্বেতী রোগ বা Vitiligo বা অন্যান্য বড় রোগ হবে সুনিশ্চিত।
- রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই আমাদের মোবাইল ফোন দূরে রাখতে হবে।
শ্বেতী রোগের কুরআনী চিকিৎসা
শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির দোয়া:
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুজামি, ওয়া মিন সাইয়িইল আসক্বামি’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি শ্বেত রোগ থেকে, পাগলামি থেকে, খুজলি-পাচড়া থেকে এবং দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তোমার কাছে আশ্রয় পার্থনা করছি।
তবে আপনাকে অবশ্যই এর জন্য চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে।
শ্বেতী রোগের ক্রিম
শ্বেতী রোগ বা Vitiligo এর জন্য নেই। অনেক ডাক্তার কোন ক্রীম ব্যবহারের পরামর্শ দিলে এতে বিন্দু মাত্র উপকার নেই।
শ্বেতী রোগের হোমিও ঔষধ কি?
শ্বেতী বা Vitiligo এর হোমিও প্যাথিক ঔষধে প্রথমে কিছুটা পরিবর্তন দেখা দিলেও পরক্ষণে আবার দেখা যায় কমে হয়নি। হোমিও প্যাথিক ডাক্তার গণ বলেন ঔষধের মাধ্যমে কালার বা রঙ ঠিক করা যাবে। আসলে এটা সম্ভব না যত সময় মেলানোসাইটস শরীরে সচল হচ্ছে।
শ্বেতী রোগ কি ছোয়াচে?
না। Vitiligo বা শ্বেতী রোগ ছোয়াচে রোগ নয়।
শ্বেতী রোগ কি বংশগত?
না। Vitiligo বা শ্বেতী রোগ বংশগত রোগ নয়।
শ্বেতী রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
Vitiligo বা শ্বেতী রোগের থেকে মুক্তির জন্য প্রাকৃতিক সরাসরি কোন ঔষধ নেই। শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে যত দ্রুত সম্ভব খাদ্যাভাস এবং লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।
শেষ কথা
শ্বেতী রোগ বা Vitiligo শরীরে প্রথমে দেখা দিলেই এই লাইফ স্টাইলস মেনে চললে খুব দ্রুত ১-৩ মাসের মধ্যেও সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারবেন। তবে শ্বেতী রোগ বা Vitiligo পরিমান শরীরে যত কম থাকবে তত দ্রুত সুস্থ্য হতে পারবেন।
আমরা যদি সঠিক খাবার, নিয়মিত যথা সময়ে ঘুম, শরীর চর্চা এগুলো মেনে চললে আমরা সম্পূর্ণ সুস্থ্য থাকতে পারব। যতদিন আমরা বেচে থাকব ততদিন সুস্থ্যতার সাথে বেচে থাকব।
শ্বেতী রোগের স্থায়ী চিকিৎসার জন্য উপরের আলোচিত সকল বিষয় মেনে চলুন খুব দ্রুত সুস্থ্য হবেন ইনশাআল্লাহ। এগুলো ব্যতীত কোন প্রকার ঔষধের প্রয়োজন নেই।
1 thought on “শ্বেতী রোগের প্রাকৃতিক ঔষধ | শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির উপায়”