কাজুবাদাম এর উপকারিতা আমরা অনেকে জানিনা। আবার অনেকে জানি কাজু বাদামের গুণাগুণ। কাজু বাদাম অত্যান্ত সুস্বাদু একটি মিষ্টি জাতীয় বাদাম।
কাজু বাদামের উপকারিতা রয়েছে অনেক যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয়। বলা হয়ে থাকে কাজু বাদামে এত বেশ পুষ্টি যা মাংসের তুলনায় অনেক বেশি। কাজু বাদাম ফাইবার জাতীয় বাদাম যা আমাদের গাট বা অন্ত্রের জন্য দারুন উপকারি।
কাজু বাদাম স্বাদে সাধারনত দুই ধরনের। একটি হলকা তিতা ও অপরটি মিষ্টি জাতীয়। আমরা সাধারনত মিষ্টি জাতীয় কাজু বাদামা পেয়ে থাকি।
কাজু বাদামকে ইংরেজীতে Crush nuts বলা হয়। যা প্রথমে ব্রাজিল সহ মধ্য আমেরিকা ও উত্তর আমেরিকার উত্তর ব্রাজিলে উৎপাদন শুর চাষ শুরু হয়। বর্তমান সময়ে ইন্দোনেশিয়া, মালায়শিয়া, ভারত, কেনিয়া, মাদাগস্কার, তানজানিয়া, মোজাম্বিক সহ বেশ কিছু দেশে কাজু বাদাম ব্যাপক ভাবে চাষ হচ্ছে।এমন এই সকল দেশ সমূহ তাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির্দেশে রপ্তানি করছে।
কাজু বাদাম সাম্প্রতিক বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে কিছু জায়গায় দেখা যায়। বাংলাদেশের পাহাড়ী অঞ্চলের খাগড়াছড়ির কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, হর্টিকালচার সেন্টার খেজুর বাগান, সেনানিবাস, হর্টিকালচার সেন্টার নারানখাইয়া, পানখাইয়া পাড়া, কমলছড়ি ও জামতলী এলাকায় কাজুবাদামের গাছ দেখা যায়।
এছাড়া দেখা দেখা যায় রামগঞ্জ উপজেলায় হর্টিকালচার সেন্টারে। তবে এখনোও বাণিজ্যিক ভাবে বাংলাদেশে কাজু বাদামের চাষ শুরু হয়নি। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজু বাদামের বাণিজ্যিক চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
কাজু বাদামের পুষ্টিগুণ
কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে পুষ্টিগুণ নিচে উল্লেখ করা হলঃ
নিয়মিত হালকা স্ন্যাকস হিসেবে কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস তৈরী করতে পারি। এতে পর্যাপ্ত পরিমানে কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, দস্তা, ফসফরাস, আয়রন, সেলেনিয়াম, থায়ামিন সহ বিভিন্ন পুষ্টি বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও কাজু বাদামে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬। প্রতি ২৮.৩ গ্রাম কাজু বাদামে রয়েছে ১৫৭ গ্রাম ক্যালোরি। ৫.১৭ প্রোটিন, ১২.৩৪ গ্রাম ফ্যাট, ৮.৫৬ গ্রাম শর্করা, ০.৯ গ্রাম ফাইবার, ১.৬৮ গ্রাম চিনি। এই সকল উপাদানই শরীরের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয়।
অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান | চুল পাকা রোধে ঘরোয়া উপায়
কাজুবাদাম এর উপকারিতা
বাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অত্যাধিক যেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলঃ
প্রোটিন, এন্টিওক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিনঃ
কাজু বাদামে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন রয়েছে আমাদের দেহের আমিষের অভাব পুরনে সহায়তা করে। এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের খনিজ ও ভিটামিনের অভাবে পুরন করে শরীরে সঠিক পরিমানে ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে শরীর গঠণ করে।
আমিষের ঘাটতি পুরনেঃ
কাজু বাদাম প্রচুর প্রোটিনে ভরপুর। যা আমাদের শরীরের আমিষের যোগান দেয়। নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে আমিষের ঘাটতি দূর হয়।
খনিজ বা মিনারেলের চাহিদা মেটায়ঃ
কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে শরীরের খনিজ তথা ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম বিদ্যমান থাকে। মিনারেল শরীরের পানি ধরে রাখে। এতে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরন করেঃ
কাজু বাদাম ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরনে ব্যাপক ভাবে সহায়তা করে। এতে আমাদের শরীর হাড় মজবুত করে এবং ক্ষয়রোধ করে। এছাড়া কাজু বাদামে আছে ভিটামিন K যা শরীরের অন্যতম কার্যকারী উপদান হিসেবে কাজ করে থাকে।
রক্তশূন্যতা বা রক্তের পরিমান বৃদ্ধিতেঃ
কাজু বাদামে যেহেতু প্রচুর পরিমানে আয়রন এবং কপার আছে যা শরীরের রক্তের ঘাটতি বা রক্ত বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভাবে সহায়তা করে। অল্প পরিমানে নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
শরীরের ওজন কমায়ঃ
যেহেতু কাজু বাদামে ক্যালরি ও চর্বি কম তাই নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে শরীরের পুষ্টি বজায় থাকে এবং ওজন বৃদ্ধি না করে ওজন হ্রাস করে। তাই আমাদের নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়া উচিৎ সল্প পরিমানে।
স্ট্রোক, হার্ট আটাক, হৃদরোগের ঝুকি কমায়ঃ
স্ট্রোক, হার্ট আটাক, হৃদরোগের অন্যতম মুল কারন চর্বি। অতিরিক্ত চর্বি খেলে আমরা এই সমস্যা গুলোর সম্মুখিন হই। নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে ক্ষতিকর চর্বি সৃষ্টিকারী “ট্রাইগ্লিসারাইড “ এর মাত্রা কমাতে কাজু বাদাম দারুন ভাবে কার্যকর। তাই নিয়মিত পরিমান মত কাজু বাদাম খাওয়া উচিৎ।
কোলেস্টোরেল মাত্রা উন্নত করেঃ
আমরা জানি ক্ষতিকর কোলেস্টোরেল স্ট্রোক এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুকি বাড়ায়। আমাদের শরীরের সাধারনত দুই ধরনের কোলেস্টোরেল থাকে একটি ক্ষতিকর ও অপর টি ভাল HDL কোলেস্টোরেল মাত্রা কাজু বাদাম খাওয়া উন্নত লাভ করে।
ডায়াবেটিক এবং প্রিডায়াবেটিক থেকে রক্ষাঃ
আমাদের যাদের ডায়াবেটিকস বা প্রিডায়াবেটিক আছে অর্থাৎ রক্তে শর্করার পরিমান অনেক বেশি তাদের উচিৎ প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েকটি করে কাজু বাদাম খাওয়া। কাজু বাদামা খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে ডায়াবেটিকসের ক্ষেত্রে শরীরে রক্তে শর্করার পরিমান কমিয়ে দেয় এতে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবং যাদের প্রিডায়াবেটিকস অর্থাৎ ডায়াবেটিকস হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাদের জন্য দারুন উপকারি হিসেবে কাজ করে কাজু বাদাম।
টিউমার প্রতিরোধে কাজু বাদামঃ
আমাদের শরীরে অনেকের টিউমার হয়। এই টিউমার অনেকে জন্য ভয়াভহ মারাত্মক হতে পারে। নিয়ম করে কিছু কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে টিউমার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজু বাদামঃ
আমরা জানি উচ্চরক্তচাপ যেকোন সময় খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। তাই আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ। এক্ষেত্রে নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে খুব সহজে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। কারন কাজু বাদামের ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেসাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হার্ট সুস্থ্য রাখেঃ
একটি গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে কয়েকদিন নিয়মি করে কাজু বাদামা খাওয়ার অভ্যাস করলে প্রায় ৩৭% হৃদরোগের ঝুকি কমায়। এবং হৃদযন্ত্র বা হার্টকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে দারুন ভাবে।
ভাইরাস প্রতিরোধে কাজু বাদামঃ
প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দেখা যায় কোন না কোন ভাইরাস দেখা যায়। এই সকল ক্ষতিকর ভাইরাসের কারনে মানুষ চরম ভাবে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। নিয়ম করে কাজু বাদাম খেলে ভাইরাস সহজে আমাদের আক্রমণ করতে পারেনা।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেঃ
কাজু বাদাম যে মাত্রায় স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর অন্য কোন খাদ্য উপাদান এর সমতুল্য বা উর্ধে নয়। নিয়ম করে কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভাবে সহায়তা করে। বিশেষ করে বাচ্ছাদের কাজু বাদাম খাওয়ালে বাচ্চাদের মেধা বিকাশে সাহায্য করে।
ত্বককে মসৃণ ও সতেজ রাখেঃ
নিয়মিত খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারনে আমাদের অনেকে ত্বক অমসৃণ ও নিঃতেজ হয়ে যায় বা শুকনা দেখা যায়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে ত্বক মসৃণ ও সতেজ রাখা সম্ভব।
দাঁতের গঠণেঃ
প্রতিদিন নিয়ম করে কাজু বাদাম খেলে আমাদের দাঁত শক্তপোক্ত ও সুন্দর ভাবে গঠনে সাহায্য করে।
হাড়ের গঠন ও মজবুত করেঃ
যেহেতু কাজু বাদামে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান সেহেতু নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে শরীরে হাড়ের সুস্থ্য গঠন ও মজবুত করে।
চোখের সানি পড়া থেকে রক্ষাঃ
নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে চোখে সানি পড়া থেকে রক্ষা করে ও চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
IBS বা গ্যাস্টিক দূর করেঃ
কাজু বাদামে প্রচুর পরিমানে ইনহিবিটর এনজাইম থাকায় খাবার হজম হতে সাহায্য করে। এবং একারনে নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে IBS বা গ্যাস্টিক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
গাট ও ক্লোনকে সুস্থ্য রাখেঃ
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন গাট সুস্থ্য থাকলে মানুষ ৮০% সুস্থ্য থাকে। কাজু বাদাম ভিজিয়ে খেলে গাট এবং ক্লোনের সাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারি। তাই নিয়ম করে কাজু বাদাম খাওয়া উচিৎ।
কাজু বাদামের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিঃ
উপরে আমরা আলোচনা করেছি, কাজু বাদাম স্বাদে দুই ধরনের। একটি স্বাদে হালকা তিতা এবং অপর টি মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। আমাদের দেশে আমাদের বাজারে যেগুলো আমরা পাই সেগুলো মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। এতএব ক্ষতিকর বিবেচনায় মিষ্টি স্বাদের কাজু বাদাম খাওয়াতে সমস্যা নেই।
কাজু বাদাম কিভাবে খেতে হয়
বর্তমানে আমরা বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে কাজু বাদাম ব্যবহার করে থাকি। কাজু বাদামের পুষ্টিগুণ পুরোপুরি পেতে হলে বয়স এবং শারীরিক গঠন ভেদে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।
বয়স এবং শারীরিক গঠন ভেদে কাজুবাদাম কিভাবে খেতে হয়:—–
- ছোট বাচ্চাদের জন্য: ছোট বাচ্চাদের সাধারণত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খেতে দিতে হয়। এক্ষেত্রে কাজুবাদাম হতে পারে সেরা একটি খাবার। কাজুবাদাম গুড়া করে বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ালে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকখানি বেড়ে যায়।
- কিশোর-কিশোরীদের জন্য: কিশোর বয়সে শারীরিক গঠন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার জন্য কিশোর কিশোরীদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ গ্রাম কাজুবাদাম কিশোর কিশোরীদের পুষ্টির চাহিদা অনেকখানি পূরণ করতে পারে।
- মধ্যবয়স্কদের জন্য: প্রত্যেক মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতির কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম কাজুবাদাম এই পুষ্টির ঘাটতি অনেকখানি কমিয়ে দিতে পারে।
কাজুবাদাম খাওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। কাজুবাদাম সরাসরি , ভেজে কিংবা ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যায়। তবে ভিজিয়ে রেখে পানি সহ কাজু বাদাম খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
কাজুবাদামের ক্ষতিকর দিক
কাজু বাদামের অনেক উপকারী দিক থাকলেও এর ক্ষতিকর দিকগুলো কম নয়। কাজুবাদাম আপনার শরীরে উপকারের সাথে সাথে ক্ষতিও করতে পারে।
কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক:—
- যারা অতিরিক্ত গ্যাস বা অম্বল জাতীয় সমস্যায় ভোগেন। কাজু বাদাম খেলে এটির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
- অত্যাধিক মাত্রায় কাজু বাদাম খেলে ওজন কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে।
- যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তাদের কাজুবাদাম এড়িয়ে চলা উচিত।
গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
কাজুবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা:—
- কাজু বাদামে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ থাকার কারণে মায়ের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
- কাজুবাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকার কারণে গর্ভাবস্থায় মায়ের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- কাজুবাদাম মায়েদের ক্যালরির চাহিদা পূরণ করা এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- গর্ভাবস্থায় মায়েদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কাজুবাদাম খেতে পারে।
- কাজুবাদাম গর্ভাবস্থায় মায়েদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
- গর্ভাবস্থায় বাচ্চার শারীরিক এবং মানসিক গঠনে নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। এসব নিয়ম মেনে না চললে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম: —-
- এলার্জি পরীক্ষা: গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার আগে আপনার এলার্জি আছে কিনা সেটি পরীক্ষা করে নিন। এলার্জি থাকলে কাজুবাদাম না খাওয়াই ভালো। এটি এলার্জি পরিমাণকে বাড়িয়ে দিতে পারে যা মা এবং শিশুর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকি।
- বাদাম ভেজে খাওয়া: কাঁচা কাজু বাদামে গর্ভবতী মহিলাদের ব্যাকটেরিয়া দূষণের ভয় থাকে। এ কারণে গর্ভ অবস্থায় কাজুবাদাম ভেজে খাওয়া উচিত।
- ভালো মানের বাদাম: কাজু বাদামের বিভিন্ন কোয়ালিটি থাকে। গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে ভালো মানের কাজুবাদামটি খেতে হবে।
- কম খাওয়া: গর্ভাবস্থায় বেশি পরিমাণ বাদাম খেলে অতিরিক্ত চর্বি জমে যেতে পারে। যেটা মা এবং বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে নিয়ম মেনে কম করে কাজু বাদাম খেতে হবে।
কাজু বাদাম কত টাকা কেজি
বাংলাদেশের বাজারে তিন কোয়ালিটির কাজুবাদাম পাওয়া যায়। নিচে কেজি হিসেবে তিন কোয়ালিটির কাজু বাদামের দাম সম্পর্কে দেওয়া হলো।
- ছোট সাইজ ১ কেজি-৯৫০ টাকা।
- মিডিয়াম সাইজ ১ কেজি-১১৫০ টাকা।
- বড় সাইজ ১ কেজি-১৩০০ টাকা।
তবে বাজার ভেদে কাজুবাদামের দাম কিছুটা কম বেশি থাকতে পারে।
কাজুবাদাম সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর:–
কাজু বাদাম কি ভেজে খেতে হয়?
কাজুবাদাম কাঁচা কিংবা ভাজা দুই অবস্থাতে খাওয়া যায়। তবে বেশি ভাজা বাদামে পুষ্টিগুণ কম থাকে। আবার কাচা বাদামে বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
এ কারণে কাজু বাদাম হালকা ভেজে খাওয়া সবচাইতে ভালো।
কাজু বাদাম খেলে কি ওজন বাড়ে?
কাজুবাদাম অনেকে ওজন কমানোর জন্য খেয়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত কাজু বাদাম খেলে ওজন বাড়তে পারে।
খালি পেটে কাজু বাদাম খেলে কি হয়?
খালি পেটে প্রতিদিন অল্প করে কাজু বাদাম খেলে অনেক পুষ্টি সমস্যার সমাধান হয়। এছাড়া সকালে কাজুবাদাম খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অনেক উপকারী।
কাজু বাদাম কখন খাওয়া ভালো?
আপনি যদি ডায়েটের জন্য কাজু বাদাম খান তবে সকাল ১১:৩০ এবং বিকাল ৪:৩০ সময় ২০ গ্রাম করে কাজু বাদাম খাওয়া ভালো।
শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যায়, কাজু বাদাম অত্যান্ত উপকারি সুস্বাদু একটি বাদাম জাতীয় খাবার যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত জরুরী। তবে কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া ভাল নয়। তাই কাজু বাদাম পরিমান মত নিয়ম করে খাওয়া উচিৎ আমাদের সকলের।
1 thought on “কাজুবাদাম এর উপকারিতা | কাজু বাদাম কিভাবে খেতে হয়”